মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ কি । মিনি স্ট্রোক কেন হয়

মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ কি । মিনি স্ট্রোক কেন হয়
হঠাৎ করে শরীরের কোন অংশ অবশ হয়ে গেলে, চোখে অন্ধকার দেখলে, ভারসাম্য হায়িয়ে ফেললে যদি কিছু সময়ের মধ্যে ভালো হয়ে যায় তাহলেই তাকে মিনি স্ট্রোক বলা হয়। পূর্নাঙ্গ স্ট্রোকের তুলনায় কম স্ট্রোক হলো মিনি স্ট্রোক। মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ কি, মিনি স্ট্রোক কেন হয়, মিনি স্ট্রোক কিভাবে বুঝবেন, মিনি স্ট্রোক হলে করণীয় কি জানতে হবে। মিনি স্ট্রোকের রোগীদের সতর্ক ও সচেতন থাকা উচিত। কারণ মিনি স্ট্রোকের রোগীরাই হঠাৎ করে পূর্নাঙ্গ স্ট্রোক করে। অনেক সময় স্ট্রোকের পর প্যারালাইজড হয়ে যায় তাই শুরু থেকে সতর্ক ও সচেতন থাকা প্রয়োজন। নিয়মিত চিকিৎসা করানো জরুরী।

মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ কি । মিনি স্ট্রোক কিভাবে বুঝবেন

মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ ও মিনি স্ট্রোক কিভাবে বুঝবেন এসকল তথ্য আমাদের আগে জেনে রাখা ভালো। হঠাৎ করে যদি শরীরে একপাশে অবশ হয়ে যায় কিংবা যদি এক হাত এক পা এবং মুখ অবশ হয়ে যায় তাহলে মনে করতে হবে মিনি স্ট্রোক। হঠাৎ তীব্র মাথা ব্যাথা ও শরীর দুর্বল হয়ে পড়া মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ। চোখে অন্ধকার দেখলে এবং কোন ব্যক্তি বা বস্তু দুইটা করে দেখলে এটি মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ। কোন ব্যক্তি যদি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে তাহলে মিনি স্ট্রোক ধরা যায়। হঠাৎ চিনতে না পারা ও হাটাচলার সমস্যা মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ। এখানে যেকোন লক্ষণ দেখা দেয়ার পর, এক ঘন্টার মধ্যেই নিজে থেকে যদি সুস্থ হয়, তাহলে মনে করবেন মিনি স্ট্রোক।

মিনি স্ট্রোক কেন হয়

অল্প সময়ের জন্য মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে কিংবা রক্ত জমাট বেধে কিছুসময় পর আবারো রক্ত প্রবাহ শুরু হয়ে গেলে মিনি স্ট্রোক হয়। মস্তিষ্কে যদি অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায় তাহলে হতে পারে মিনি স্ট্রোক। পারিবারিক সমস্যার জন্যও মিনি স্ট্রোক হয়। ধূমপান করলে, হৃদরোগের সমস্যা থাকলে মিনি স্ট্রোক হয়। এছাড়াও যদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যার জন্যও মিনি স্ট্রোক হয়।

মিনি স্ট্রোক হলে করণীয়

মিনি স্ট্রোক হলে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মিনি স্ট্রোক হলে অনেকেই গুরুত্ব দেয়না। গুরুত্ব না দেয়ার কারণে হঠাৎ পূর্নাঙ্গভাবে স্ট্রোক হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে। আমাদের ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। ওজন কমাতে হবে ও নিয়মিত হাটতে হবে। লবণ কম খেতে হবে। তৈলাক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। ফল ও শাক সবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে।

উপসংহার

মিনি স্ট্রোকের রোগীদের পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আসঙ্কা থাকে বেশি। তাই আমাদের মিনি স্ট্রোক কেন হয়, মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ, মিনি স্ট্রোক হলে করণীয় কি ইত্যাদি ভালভাবে জানতে হবে বুঝতে হবে এবং নিয়মিত চিকিৎসা করাতে হবে। আমাদের সতর্কতা ও সাবধানতা মেনে চলতে হবে। আমাদের স্ট্রোক থেকে বাচতে সচেতন হতে হবে। আমাদের আর্টিকেল ভালো লাগলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url